ওরে নবীন , ওরে আমার কাঁচা ,
ওরে সবুজ , ওরে অবুঝ ,
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা ।
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে ,
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে ,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা ।
আয় দুরন্ত , আয়রে আমার কাঁচা ।।
খাঁচাখানা দুলছে মৃদু হাওয়ায় ;
আর তো কিছুই নড়ে না রে
ওদের ঘরে , ওদের ঘরের দাওয়ায় ।
ওই যে প্রবীন , ওই যে পরম পাকা -----
চক্ষুকর্ণ দুইটি ডানায় ঢাকা ,
ঝিমায় যেন চিত্রপটে আঁকা
অন্ধকারে বন্ধ করা খাঁচায় ।
আয় জীবন্ত , আয়রে আমার কাঁচা ।।
বাহির পানে তাকায় না যে কেউ ,
দেখে না যে বান ডেকেছে -----
জোয়ার-জলে উঠছে প্রবল ঢেউ ।
চলতে ওরা চায়না মাটির ছেলে
মাটির পরে চরণ ফেলে ফেলে ,
আছে অচল আসনখানা মেলে
যে যার আপন উচ্চ বাঁশের মাঁচায় ।
আয় অশান্ত , আয় রে আমার কাঁচা ।।
তোরে হেথায় করবে সবাই মানা ।
হঠাৎ আলো দেখবে যখন
ভাববে , একি বিষম কান্ডখানা !
সংঘাতে তোর উঠবে ওরা রেগে ,
শয়ন ছেড়ে আসবে ছুটে বেগে
সেই সুযোগে ঘুমের থেকে জেগে
লাগবে লড়াই মিথ্যা এবং সাঁচায় ।
আয় প্রচন্ড , আয়রে আমার কাঁচা ।।
শিকল-দেবীর ওই যে পূজাবেদি
চিরকাল কি রইবে খাড়া ?
পাগলামি , তুই আয়রে দুয়ার ভেদি ।
ঝড়ের মাতন বিজয়-কেতন নেড়ে
অট্টহাস্যে আকাশখানা ফেড়ে
ভোলানাথের ঝোলাঝুলি ঝেড়ে
ভুলগুলো সব আনরে বাছা বাছা ।
আয় প্রমত্ত , আয় রে আমার কাঁচা ।।
আনরে টেনে বাঁধা পথের শেষে ।
বিবাগি কর অবাধ-পানে ,
পথ কেটে যাই অজানাদের দেশে ।
আপদ আছে , জানি আঘাত আছে ,
তাই জেনে তো বক্ষে পরাণ নাচে ----
ঘুচিয়ে দে ভাই , পুঁথিপোড়োর কাছে
পথে চলার বিধি বিধান যাচা ।
আয় প্রমুক্ত , আয় রে আমার কাঁচা ।।
চিরযুবা তুই যে চিরজীবী ,
জীর্ণ জরা ঝরিয়ে দিয়ে
প্রাণ অফুরাণ ছড়িয়ে দেদার দিবি ।
সবুজ নেশায় ভোর করেছিস ধরা ,
ঝড়ের মেঘে তোরই তড়িৎ ভরা ,
বসন্তেরে পরাস আকুল-করা
আপন গলার বকুল মালা-গাছা ।
আয় রে অমর , আয় রে আমার কাঁচা ।।
কবিতা বিষয় বস্তু কী ।
ReplyDeleteকবিতা বিষয় বস্তু কী । সবুজ অভিযান কবিতাটির
ReplyDelete